নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জমি ক্রয়ের ১০ বছর পর জমি দখল পেলেন জমির মালিক লাকি আহমেদ। উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নতুন বান্দুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জমির দখল বুঝে পেলেন।
জমির মালিক লাকি আহমেদ জানান, নতুন বান্দুরা মৌজার আর.এস ৩৪১ ও ৩৪০নং দাগের ৫২ শতাংশ জমি তার পিতা হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে নবাবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৬/১১/২০১২ তারিখে ৮৩৬১নং সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হন। পরে জমিটি কেনার পর ছোট বোন ইয়াসমিন আক্তার ও বোন জামাই তুষার আহমেদকে জমিটি দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়। ৪ বছর পর এসে দেখি ঐ জমিতে দোকান ঘর নির্মান করে অগ্রিম টাকা বাবদ ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করেছে ওই বোন জামাই।
তিনি আরও জানান, আমি ৬ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে আমার ক্রয়কৃত জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদেরকে অনেক ভাবে বুঝিয়েছি জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু তাদের সাথে মিমাংসা করার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হই।
তিনি বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের দারস্থ হলে আমাদের দু’পক্ষকে ডেকে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাগজ দেখে আমার প্রতিপক্ষকে ঐ জমিতে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর সহযোগীতায় আজ আমি জমি বুঝে পেলাম।
লাকি আহমেদ অভিযোগ করেন, ইয়াসমিন আক্তার ও তুষার আহমেদ তার কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরপরই তারা আমার জমিতে দোকান ঘর নির্মান করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, দু’পক্ষের কাগজ দেখেছি। লাকি আহমেদের নামে জমির নামজারি ও খাজনার রশিদ রয়েছে। জমিটি ব্যক্তিগত। তারা দু’পক্ষ পারিবারিকভাবে এর সমাধান করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ইয়াসমিন আক্তারের মুঠোফোনে সংযোগ তাকে পাওয়া যায়নি।