সিনিয়র প্রতিবেদক:
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় লাইসেন্সধারী মোট ১১০টি অস্ত্রের মধ্যে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার থানা হাজতে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ মোট ৮৫টি গোলা বারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা।
২০০৯ সালের তথ্যমতে, ঢাকার দোহারে লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্র ছিলো ৫০টি। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর দোহার থানা হাজতে জমা পড়েছে ২৯টি এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৬টিসহ মোট ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দোহার থানা পুলিশ। এছাড়াও সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১১টি অস্ত্র । তবে এখনও বেসামরিক ভাবে আরও ৪টি অস্ত্র রয়েছে যা এখনও জমা দেননি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, ২০০৯ সালের পর নবাবগঞ্জে লাইসেন্সধারী মোট ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০টি অস্ত্র জমা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শাহ্-জালাল।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে সে অস্ত্র নিজস্ব উপজেলার প্রশাসনের নিকট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ছিলো সে অস্ত্র জমা দেওয়া শেষ দিন। এরপর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছে জমা না হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহীনির অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।