সাইফুল হোসেন সুজন, নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
ঢাকার নবাবগঞ্জের আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ঈদগা কবরস্থানের প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশা। অভিভাবকহীন এই রাস্তাটি যেন দেখার কেউ নেই। এক পশলা বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। খানা-খন্দে ভরা এই রাস্তাটি নিয়ে এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দূর্ভোগে।
গত সোমবার (১৪ আগষ্ট) সরেজমিন পরিদর্শণে দেখা যায়, আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া ৫নং ওয়ার্ডের খাড়াহাটি থেকে কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিনিয়তই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদ গামী ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আমরা আমাদের জন্মের পর থেকেই অনেক চেয়ারম্যান দেখতেছি। যেই চেয়ারম্যানই আসে সবাই শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যায় । এ পর্যন্ত কত চেয়ারম্যান আসলো আর গেলো কিন্তু দেখলাম না কেউ রাস্তাটি করে দিলো।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, বৃষ্টির সময় এ রাস্তাটি এতটাই খারাপ হয় সে সময় আমাদের বৃদ্ধ মা-বাবা অসুস্থ হলে তাদেরকে মেডিকেলে বা ডাক্তাখানা নিতে পারি না। কারণ কোন গাড়ি তখন এ রাস্তা দিয়ে আসতে চায় না। এই জন্য এ রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা দরকার।
এলাকাবাসীর দাবী, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তাটি দিয়ে আমরা পায়ে হেটে বা রিক্সা দিয়ে যাতায়াত করতে পারিনা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজে যেতে পারে না। তাদের পোশাক নস্ট হয়ে যায়। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে দাবী অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য। তিনি যেন দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করে দেন।
ছাতিয়া ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার তৈয়বুর রহমান জানান, ছাতিয়া ও মোহনপুর এলাকাবাসীর জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। দ্রুত এই রাস্তাটি মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
আগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিরিন চৌধুরী জানান, বেশ কয়েক বছর আগে এই রাস্তাটি অর্ধেক কাজ করে ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। তবে নতুন করে আবার এই রাস্তাটির টেন্ডার জমা দেওয়া হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে নির্বাচনের আগেই কাজ ধরা হবে।