নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা দোহার উপজেলার বিভিন্ন জায়গার প্রাধন প্রধান সড়কে গাছপালা ভেগে পড়ে যান চলাচলসহ লোকজনের যাতায়াত বন্ধ ও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের লাইনের উপর গাছ-পালা পড়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোমবার থেকে দোহারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে টানা দুই দিন যাবত। তবে বুধবার থেকে দোহারের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা পল্লি বিদ্যৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম সুশান্ত রায় জানান, সিত্রাংয়ের তান্ডবে দোহারে গাছ এবং গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি উপর পরে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতে কাজের জন্য আমাদের ১৪টি টিম কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো কিছু রাস্তা-ঘাট এখনো চলাচলের উপযোগী হয়নি। ফলে মেরামতের কাজে সময় লাগছে।
তিনি আরো জানান, আমাদের এ পর্যন্ত ছয়টি খুটি ভেঙে গিয়েছে ও ২৬টি বিদ্যুৎ খুটি হেলে পরেছে। এবং ৬০ থেকে ৭০টি স্থানে বিদ্যুৎ এর তার ছিঁড়ে পরেছে সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়া অনেক স্থানে বিদ্যুৎ মিটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা মঙ্গলবার রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ করেছি আর এতে আমাদের দোহারে ৮০% কাজ হবে বাকি ২০% কাজ আগামী কাল শেষ হবে বলে আশা করি। আমাদের সাথে আমাদের ঠিকাদাররাও কাজ করতেছে। পুরো দোহারে ১০০% বিদ্যুৎ পেতে হলে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে দোহার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কমান্ডার তামিম হাওলাদার জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের কারনে দোহারের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়া গাছপালা অপসরণের কাজ করছি। এর মধ্যে তিনটি স্থানে অগ্নি সংযোগ এর ঘটনা ঘটেছিল আমরা সে গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছি। সিত্রাং এর প্রভাবে ঝড় বাতাসের কারনে ঢাকার দোহারের বিভিন্ন জায়গার প্রাধন প্রধান সড়কে গাছপালা ভেগে পড়ে যান চলাচলসহ লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনা স্থানে গিয়ে গাছ কেটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করি।
দোহার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জসীম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে দোহারে এখন পর্যন্ত কোন হতাহত বা আহত হয়নি। তবে কয়েকজন ধোরা সাপে কাটার রোগী এসেছিল আমরা তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই। আমাদের ধারনা ঝড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।