সিনিয়র প্রতিবেদকঃ
দেশে জ্বালানী তেলের দাম রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধির ফলে প্রবাসী অধ্যূষিত এলাকা হিসেবে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় কমেছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে রাস্তাঘাটে আগের মতো মোটরসাইকেলের বিচরন চোখে পড়ছে না। বিভিন্ন পেশার লোকজন প্রয়োজনীয় কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলেও অপ্রয়োজনে কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বাহিরে বের হচ্ছে না। সীমিত আয়ের লোকজনও মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যাটারীচালীত ইজিবাইক স্বাভাবিক চলাচল করতে দেখা গেলেও মোটরসাইকেল চলাচল ছিল সীমিত। দোহারের পালামগঞ্জ বাজারের সামনে একটি তেলের দোকানে কথা হয় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের এক শিক্ষার্থী সাইমের সাথে।
সাইম জানায়, দাম বৃদ্ধির আগে প্রতিদিন ১ লিটার তেল নিতে হতো আর দাম বাড়ায় এখন আধা লিটার তেল নিচ্ছি। কারণ অর্ধেকে কমিয়ে আনতে হয়েছে মোটরসাইকেল ব্যবহার।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক্স্কিএক স্কুল শিক্ষক জানায়, তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে খুবই প্রয়োজন ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে আপাতত বাহিরে বের হচ্ছি না।
এদিকে তেল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দাম বৃদ্ধিতে তেলের চাহিদা কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তবে বিক্রি স্বাভাবিক হবে কিনা এ প্রশ্নের ব্যাপারে তারা জানান, এখনো পরিস্থিতি বুঝা যাচ্ছে না। তেলের দাম যদি কমানো না হয় তাহলে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার কমিয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য চেস্টা করবেন।
এক সময়ে উঠতি বয়সের যুবকেরা মোটরসাইকেল নিয়ে সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ালেও এখন অনেকটাই হিসেব নিকেশ করছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা তেলের দোকানগুলিতে।