সুজন খানঃ
দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকার দোহার উপজেলার পৌরসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন শেষে গননা চলছে। সকাল ৮ টায় ২১টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ২০১টি এভিএম মেশিনে ভোট গ্রহন কার্যক্রম শুরু হয়। এ ভোট গ্রহন কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহন শেষে এখন গননা শুরু হয়েছে। নির্বচানে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার এই ৪ স্তরের বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠে মোতায়েন রয়েছে।
নির্বাচনের ভোট গননার আগে এই পৌর নির্বাচনে প্রথমবারের মত সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম’এর মাধ্যমে এই ভোট গ্রহণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দোহার পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৩ হাজার ৬৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২১ হাজার ৭৪০ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ২১ হাজার ৩২৬ জন।
এই পৌর নির্বাচনেমেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৫ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। অন্যদের মধ্যে দুইজন সতন্ত্র প্রার্থী ও অপর একজন ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনীত প্রার্থী। এছাড়াও সাধারন কাউন্সিলর পদে ৬১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো বেশ ভালো। লক্ষ্য করা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রেই নারী ও পুরুষ ভোটারদের সরব উপস্থিতি। তবে পুরুষ ভোটাদের থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো সব থেকে বেশি। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পৌর নির্বাচন ঘিরে পুরো এলাকা জুড়েই এখন উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোন ভোট কে›ন্দ্র থেকেই কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটে অংশ গ্রহণ এবং ভোট দিতে আসতে পারায় অত্যাধিক খুশি ভোটাররাও।
ভোটাররা বলছেন, প্রথমবারের মত ইভিএমে মেশিনে ভোট গ্রহন হওয়ায় সকাল থেকে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। মেশিন গুলো অনেক স্লো কাজ করেছে। তবে ধীরে ধীরে সে বিড়ম্বনা কাটিয়ে উঠে এখন ভোট গ্রহন চলছে পুরো উদ্যমে।
দোহার পৌরসভা নির্বাচন রির্টানিং কর্মকতা মোঃ আশরাফুল আলম জানান, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর।
দোহার থানা ওসি মোস্তফা কামাল জানান, ভোটের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার সার্থে পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে কঠিন ভাবে নিরাপত্তা জোড়দারসহ বেশি সংক্ষক বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে মাঠে রয়েছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের মোবাইল কোর্ট টিম।