23 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫

দোহারে শিখা হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড, অন্যদের ৭ বছরের কারাদন্ড

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত পাঁচ বছর আগে ঢাকার দোহারে গৃহবধূ শিখা আক্তার হত্যা মামলায় তার স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে শিখার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে কারাদন্ড প্রাপ্ত তিনজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অথবা অনাদায়ে আরও তিন মাসে করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়েরা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব জানান, শিখার স্বামী রুহুল আমিন, শ্বশুর মনোয়ার হোসেন, শাশুড়ি আছমা বেগম ও দেবর মারুফ খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার রায় থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিখার। বিয়ে উপলক্ষে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে ওই বছরের ৩ অগাস্ট তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান। কিন্তু সেসব জিনিসপত্র দেখে পছন্দ না হওয়ায় শিখার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনঃক্ষুণ্য হয়।

তিনদিন পর ৬ অগাস্ট শিখাকে তারা বাবা দেখতে গেলে শাশুড়ি আছমা বেগম জানান, ছেলের বউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পরে সেদিন বিকালেই বাড়ির পাশে পুকুরে শিখার লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পানির নিচে কলসির সঙ্গে ওড়না দিয়ে লাশ বাঁধা ছিল বলে জানা যায়।

ঘটনার ওই দিনই শিখার মা দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দোহার থানার পরিদর্শক ইয়াসিন মুন্সী। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিচার শুরু হয়। ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষে রায় দিলেন বিচারক।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!