নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা সদর জেলা পরিষদ মার্কেটের সালমান অপটিকস্ চেম্বারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে সাইফুল ইসলাম নামে এক ভুয়া চোখের ডাক্তারকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ. হালিম এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। কারাদন্ড প্রাপ্ত ভুয়া চোখের ডাক্তার সাইফুল মূলত একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর জেলা পরিষদের মার্কেটের সালমান অপটিকস্ চেম্বারে কথিত চোখের ডাক্তার সাইফুল ইসলাম নিজেকে এম বি বি এস (ঢাকা), বি.এইচ.এস (হেলথ), ডি.এ ও (চক্ষু), ই.বি.টি (চক্ষু), ট্রেইন্ড ইন অরবিস এবং এল.ভি.প্রসাদ, আই.ইন্সটিটিউট, হায়দারাবাদ, চক্ষু রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চোখের ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে ঐ চেম্বারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার সাইফুলকে আটক করেন। পরে তার সকল কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আ. হালিম বলেন, ভুয়া চিকিৎসক মো. সাইফুল ইসলামের বাংলাদেশ ডেন্টাল ও মেডিকেল কাউন্সিলের নিবন্ধন নেই, এমবিবিএস সনদও নেই। তাই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কাজে সহযোগিতা করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।