শরীফ হাসান :
রমজান মানেই সামনে খুঁশির ঈদ। আর এই ঈদকে ঘিরেই থাকে নানা জনের নানা পরিকল্পনা। বিশেষ করে ঈদে কেমন পোশাক পরিধান করবো এটা নিয়ে থাকে মানুষের মনে বিভিন্ন বাসনা। রমজানের শেষ দিকে বেড়েছে প্রচন্ড গরমের তাপ। আর সেই গরমের তাপকে উপেক্ষা করেও শেষ মূহুর্তে চলছে ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারে ঈদের পোশাক কেনা-বেচার উপচে পড়া ভীড়। ঈদকে ঘিরে বড় বড় শপিংমল গুলোতে সাজিয়ে রেখেছে বাহারী রংঙের দামী দামী পোশাকের পরসা। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই শপিংমল গুলো থেকে কেনাকাটা করে পরিবারে মুখে হাসি ফুটানোর।
নিম্ন আয়ের লোকজন পরিবারের মুখে একচিলতে হাসি ফুটানোর জন্য বড় বড় শপিংমল গুলোকে পাশ কাটিয়ে রেখে এর বাহিরেও যে ফুটপাত গুলোতে পোশাকের বাজার রয়েছে সেখান থেকেই পোশাক কেনাকাটা করে চেষ্টা করছেন পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে। তাই ফুটপাতের পোশাকের দোকান গুলোতেও চলছে ঈদের পোশাক কেনা-বেচার ধুম ।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শণে দেখা যায়, জয়পাড়া পাইলট স্কুল মার্কেটর পাশে ফুটপাতের দোকান গুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষের উপচেপড়া ভীড়। স্বল্প দামে ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায় বলেই ফুটপাতের দোকান গুলোতে ছুটে আসেন স্বল্প আয়ের লোকজন।
তবে ফুটপাত বাজারে পোশাক বিক্রেতাদের দাবি, ঈদকে ঘিরে বেচাকেনা খুব একটা ভালো হচ্ছে না। হয়তোবা আরও কয়েক দিন পরে বেচাকেনা বর্তমানের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে।
ফুটপাতে পোশাক বিক্রেতা ফজর আলী জানান, ফুটপাতের দোকান গুলোতে রড় রড় শো-রুম ও মার্কেটের দোকান গুলোর মত নেই হাজার হাজার টাকার ভাড়া। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নেই কোনো আলোর ঝলকানি। ফলে স্বল্প লাভে ফুটপাতের বিক্রেতারা ক্রেতাদের সাথে দর-দামে পোশাক বিক্রি করে থাকি। আর এখান থেকে সল্প আয়ের মানুষেরাও পেয়ে থাকেন তাদের সাধ্যের মধ্যে পরিবারের জন্য বিভিন্ন পোশাক।
শপিং করতে আসা মোঃ আবজাল জানান, বড় বড় দোকান গুলো থেকে আমার পক্ষে একটি প্যান্ট কিনে ছেলেকে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য ছেলেকে নিয়ে এসেছি তার পছন্দমতো জিন্স প্যান্ট কিনতে এখানে এবং ৩০০ টাকার মধ্যে একটি প্যান্টও কিনতে পেরেছি।
ফুটপাত দোকানদার মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, এই ফুটপাতে আমরা নিজেরাই ব্যবসা করি। এতে কর্মচারীর বেতন, বিভিন্ন আলোর ঝলকানিসহ নানান ধরনের খরচ আমাদের অনেক কম হওয়ায় বড় বড় শপিংমল গুলোর তুলনায় স্বল্প লাভে পোশাক বিক্রি করতে পারি । তবে এবার সব জিনিসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে না বলেও জানান তিনি ।
মেয়ের জন্য জামা কিনতে আসা আলেয়া বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাগো ঈদের কেনাকাটা মানেই এই সমস্ত ছোট ছোট দোকান থেকে জামা-কাপড় কেনা। একটু ঘুইরা ঘুইরা দেখবার লাগছি যদি দাম একটু কমে পাইলে মেয়েকে পছন্দের জামা কিনা দিমু।