হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্নিত আছে যে,
অবশ্যই হুজুরপাক (সাঃ) ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃত ভাবে রমজানের একটি রোজা ভঙ্গ করিয়াছে সে রোজার মাস ব্যতিত অন্য যেকোন সময়ে সারা জীবন রোজা রাখিলেও রমজান মাসের রোজার সমকক্ষ হইবে না।
হযরত আলী (রাঃ) অভিমত দিয়েছেন যে, বিনা কারণে কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি একটি রোজা নষ্ট করিলে সারা জিবন রোজা রাখিলেও তাহার ক্ষতিপূরণ হইবে না। তাহলে বুঝা গেলো রোজার কত গুরুত্ব ও কত বড় একটি ফরজ এবাদাত।
কিন্তু ফকিহগণ বলেন যে, রমজানের রোজ কেউ যদি একেবারেই না রাখে তবে একটা রোজার পরিবর্তে একটা রাখিলেই ক্বাজা আদায় হইয়া যাবে। কিন্ত রোজা রাখিয়া ভঙ্গ করিলে একটা রোজার পরিবর্তে ৬০টি রোজা কাফফারা আদায় করিতে হইবে। এক সাথে ৬০টি রোজা আদায় করিতে হবে। ক্রমাগত দুই মাস রোজা রাখিতে হবে কিন্তু কোন একদিন বাদ দেওয়া যাবে না। লাগাতার কাফফারা আদায় করিতে হইবে। তবে রমজান মাসের ফজিলত আদায় কখনই হইবে না। আল্লাহতায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন। মাওলানা আব্দুর রহমান দোহারী – ০১৭০৪০৯১৫৯১ ।