হাদীস কিতাবুল হাকেম ও দোররে মানছুরে বর্ণিত আছে-
হযরত কায়াব বিন উজরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদিন নবীয়ে কারীম (সাঃ) এরশাদ করিলেন, তোমরা মিম্বারের নিকটবর্তী হও। অতপর সাহাবারা মিম্বারের নিকটবর্তী হলেন।
তারপর হুজুরপাক (সাঃ) যখন মিম্বারের প্রথম সিড়িঁতে পা মোবারক রাখিলেন তখন বলিলেন আমীন, অর্থাৎ মহান আল্লাহতায়ালা তুমি কবুল কর। আবার যখন দ্বিতীয় সিডিঁতে উঠিলেন বললেন আমীন। পুনরায় তৃতীয় সিড়িঁতে উঠিলেন বলিলেন আমীন। এরপর হুজুরপাক (সাঃ) যখন খোৎবা শেষ করিয়া মিম্বার থেকে অর্বতরণ করিলেন।
তখন সাহাবারা জিজ্ঞেস করিলেন, হুজুরপাক (সাঃ) আপনি মিম্বারে উঠিবার সময় যাহা কিছু শুনিলাম আমরা ইতিপূর্বে তাহা কখনও শুনি নাই।
হুজুরপাক (সাঃ) এরশাদ করিলেন, আমি প্রথম সিড়িঁতে পা রাখার সময় হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এসে বলে গেলেন যে, ধ্বংস হোক ঐসব ব্যক্তি, যিনি রমজান পেলো অথচ তাহার গোনাহ মাফ হইলো না, আমি বলিলাম আমীন। অর্থাৎ তাহাই হোক।
দ্বিতীয় সিড়িঁতে পা রাখিবার সময় জিব্রাঈল (আঃ) বলিলেন, ধ্বংস হোক ঐসব ব্যক্তি, যাহার সামনে আমার নাম লওয়া হয় অথচ আমার উপর দরুদ পাঠ করে না। আমি বলিলাম আমীন।
তৃতীয় সিড়িঁতে পা রাখিবার সময় জিব্রাঈল (আঃ) বলিলেন, ধ্বংস হোক ঐসব ব্যক্তি, যাহার সামনে তাহার পিতা-মাতা উভয় অথবা একজন বেঁচে আছে এবং বার্ধক্যে পৌঁেছছেন অথচ তিনি তাহাদের সন্তানের উপর নারাজ অবস্থায় মারা যান। সন্তানের উপর খুশি না এবং তাহাদের খেদমত করিলো না। তদুত্তরে আমি বলিলাম আমীন। অর্থাৎ সুবহানাল্লাহতায়ালা আপনি কবুল করেন।
সুবহানাল্লাহতায়ালার লানত উক্ত হাদীসে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর বদদোয়া ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট ছিল। তদুপুরি হুজুরপাক (সাঃ) এর আমীন বলা উহাকে আরো মজবুদ করিয়া দিলেন। সুবহানাল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে ঐ সমস্ত পাপ থেকে হেফাজত করনে। আমীন। মাওলানা আব্দুর রহমান দোহারী – ০১৭০৪০৯১৫৯১ ।