27 C
Dhaka
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

ঢাকা-১ আসন : সালমান এফ রহমান শক্ত অবস্থানে, পুনরুদ্ধারে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

সুজন খান :
ঢাকার দক্ষিণ দোহার ও নবাবগঞ্জ এই দুটি উপজেলা মিলে বর্তমানে একটি আসন যা ঢাকা-১। বিগত দিনে এই দুইটি উপজেলা দুইটি ঢাকা-১ ও ঢাকা-২ আসনে বিভক্ত ছিলো। আর সে সময় এই দুই আসনই ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর প্রধান ঘাটি। তবে সময়ের ব্যবধানে পাল্টে গেছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। মন্ত্রী পদমর্যাাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত শিল্প ও উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই পাল্টে গেছে সম্পূর্ণ দৃশ্যপট। এক সময়ের বিএনপির ঘাটি বর্তমানে আওয়াী লীগের ঘাটিতে পরিনত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে সালমান এফ রহমান এই আসনের একক প্রার্থী। তার নেতৃত্বে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ একাট্টা, বর্তমানে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। অন্যদেকে বিএনপিও বসে নেই। বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। বড় দুই দলের একক প্রার্থীর বিপরীতে জাতাীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তির কমতি নেই। দুই দলের ভোটের হিসাবে ভাগ বসাতে চায় জাতীয় পার্টি।

বিগত ১৯৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচনে দোহার উপজেলা ছিল ঢাকা-১ আসন। এই ঢাকা-১ আসনে বিএনপি দল থেকে ব্যারিসষ্টার নাজমুল হুদা ধানের শীষ প্রতীক ও আওয়ামী লীগ দল থেকে মাহবুবুর রহমান নৌকা প্রতীক নির্বাচনে লড়াই করেন। সে নির্বাচনে নাজমুল হুদা ভোট পান ৫৫ হাজার ১৫২ ভোট। অপর দিকে মাহবুবুর রহমান পান ৩১ হাজার ২৪৫ ভোট। ফলে ২৩ হাজার ৯০৭ ভোটের ব্যবধানে নাজমুল হুদা বিজয়ী হন। এ সময় বিএনপি দল সরকার গঠন করলে ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নাজমুল হুদা বিএনপি সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।

অবশেষে ২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ১০ই আগস্ট ২০১২ সালে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরের আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে নাজমুল হুদা বহিষ্কার হন। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন।

অপরদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলা ছিল ঢাকা-২ আসন। এ আসন থেকে আব্দুল মান্নান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিও ছিলেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-২ নবাবগঞ্জ আসন থেকে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে একটি শক্ত পাকাপুক্ত ঘাটি হিসেবে দখল করে নেন বিএনপি।

পরবর্তিতে ওয়ান-ইলেভেন এর পর ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ২টি আসনকে ১টি আসনে রুপার্ন্তিত করা হয়। এ নির্বাচনে বিএনপি দল থেকে আব্দুল মান্নানকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ৩৪ হাজার ৪২৩ ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করায় প্রথমবারের মত বিএনপির দখল থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ দল সরকার গঠন করায় এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ফলে ধীরে ধীরে দোহার ও নবাবগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকলেও ২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইসুতে বিএনপি দল অংশ গ্রহণ না করায় বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান এর বিরোদ্ধে এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ৪ হাজার ৬৫১ ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ দলকে পরাজিত করে সালমা ইসলাম এমপি হন।

এরপর ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সালমান এফ রহমান দোহার ও নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ওই দিন দুপুরে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ান সালমা ইসলাম। ফলে সালমান এফ রহমান একক ভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এই আসনটি এখন পর্যন্ত দখলে রয়েছে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগ দলের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত শিল্প ও উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি হওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে সম্পূর্ণ দৃশ্যপট।

এর আগে সালমান এফ রহমান ১৯৯০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন। ১৯৯৬ সালে এই দলের হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে এক অষ্টমাংশ ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারান। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে তৎকালীন বিএনপির প্রার্থী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার কাছে পরাজিত হন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তখন থেকে তিনি এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত শিল্প ও উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা-১ এই আসন থেকে সালমান এফ রহমান এমপি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের অনুমোদন, পদ্মা বাধ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল কলেজ এর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের ও আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব হওয়ায় দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজত্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলটি। তবে বিএনপিও মনে করছেন বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে আরও বেশি সমর্থক সৃষ্টি হয়েছে তাদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক চাপ ও হামলা-মামলার কারণে বেশির ভাগ সমর্থকরা রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। পাশাপশি জাতীয় পার্টিও ইতিমধ্যে এই আসনটি নিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে নিজেদের মত গুছিয়ে নিয়েছেন। তবে সুশীল সমাজ মনে করছেন আগামী সংসদ নির্বাচন অস্তিত্বের লড়াইয়ে লড়বেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি চেষ্টা করবে তাদের হারিয়ে যাওয়া আসন পুনরুদ্ধার করতে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোন্দলে সুভিধা খুঁজবে জাতীয় পার্টি।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সালমান এফ রহমানের বিকল্প কোন প্রার্থীই নেই এই আসনে। তিনিই একমাত্র বা একক প্রার্থী। ইতোমধ্যেই সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসনে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনীতও হয়েছে তিনি। একক প্রার্থীর তালিকা রয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। এই তিন দলের মধ্যে একক প্রার্থী ছাড়া বিকল্প বা কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

ঢাকা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সালমান এফ রহমান। তিনি শুধু ঢাকা-১ আসনেই নয় বরং আওয়ামী লীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই আস্থাভাজন ব্যক্তি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত শিল্প ও উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা জননেতা সালমান এফ রহমান। তিনি ছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগ দলের আর দ্বিতীয় কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীই নেই। তিনিই একমাত্র একক প্রার্থী।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সালমান এফ রহমানের বিকল্প কোন প্রার্থী নেই এই আসনে। তিনিই একমাত্র বা একক প্রার্থী। ইতোমধ্যেই সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসনে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনীতও হয়েছে তিনি। এই আসনে সালমান এফ রহমান ছাড়া বিকল্প আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থীও নেই। তিনিই একমাত্র একক প্রার্থী।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত শিল্প ও উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা জননেতা সালমান এফ রহমান এমপি হওয়ার পর থেকেই এই আসনটিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দোহার ও নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ এই আসনে। তিনি বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের অনুমোদন, পদ্মায় বাধ নির্মাণ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। এই আসনের দুইটি উপজেলায় আমরা সফল ভাবে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পুর্ণাজ্ঞ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছি। সাংগঠনিক ভাবেও আমরা শতভাগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। এই আসনে জনগণের আস্থাভাজন ও ভালোবাসার অপর নাম সালমান এফ রহমান। আগামী নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন তিনি। কারণ তিনি জনগণের জন্য কাজ করেছেন, তিনি উন্নয়নের কাজ করেছেন। সুতরাং তিনি আবার দ্বিতৃীয় বারের মত এই আসন থেকে ব্যাপক পরিমান মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আবারও নির্বাচিত হবেন ইনশায়াল্লাহ।

অপর দিকে, দোহার ও নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। কারণ তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মাঠে রয়েছেন। খন্দকার আবু আশফাক ছাড়া বর্তমানে এই আসনটিতে বিএনপি থেকে বিকল্প বা মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন প্রার্থীই নেই।

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ নিয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক জানান, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেবে না।

তিনি বলেন, যদি এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করে তাহলে বিএনপিকেই ভোট দেবে জনগণ। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের জীবনে চরম দুর্বিষহ ও দুর্বিপাক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ এর থেকে মুক্তি চায় ও মুক্তি পাওয়ার জন্যই বিএনপিকেই ভোট দেবে জনগণ।

দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম মেছের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য বিগত ১৫ বছর যাবত আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কখনই নির্বাচনে অংশ নিবে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোহার ও নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ এই আসনে আমাদের যথেষ্ট ভালো প্রস্ততি রয়েছে। ইতোমধ্যেই দোহার ও নবাবগঞ্জ এই দুইটি উপজেলায় তৃর্ণমূল পর্যায়ে আমরা সফল ভাবে আমাদের কমিটি গঠন করেছি। সুতরাং সুষ্ঠ ও নিরোপেক্ষ অংশ গ্রহন মূলক নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত। জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে তাই বিএনপিকেই ভোট দিবে।

অন্যদিকে, সুশীল সমাজ মনে করেন আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সুভিধা নিতে চাইবে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নাও করতে পারে সে ক্ষেত্রে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আর বিরোধী দল হিসেবে যখন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে সেক্ষেত্রে একক প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১ আসনে এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম তার মনোনয়ন নিয়ে লড়বেন এই আসনে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ জুয়েল আহমেদ বলেন, দোহার ও নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম একক প্রার্থী। তিনি ছাড়া এই আসনে তার কোন বিকল্প বা কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একশত ভাগ প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় পার্টি। ইতোমধ্যেই দোহার ও নবাবগঞ্জ এই দুইটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা সফল ভাবে আমাদের কমিটি গঠন করেছি।

তিনি আর বলেন, আমরা আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের জন্যই দল প্রস্তুত রয়েছে। তবে নির্বাচন ঘিয়ে যাই হোক না কেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যে সিদ্ধান্তই আসবে আমরা তা মেনে নিবো। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার এই আসনের মধ্যে দোহার উপজেলায় ১টি পৌরসভা (দোহার পৌরসভা) ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৭০ ভোট। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৭৩ হাজার ১২০ ভোট ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৫০ ভোট।

অপর দিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ আটাশি হাজার ৬৩৭ ভোট। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬৮৫ ভোট ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯৫২ ভোট।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!