নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকার সুনিল হালদারের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী রতন হালদারে স্ত্রী শিখা হালদার (২৩) কে খুন করা হয়েছে দাবী করে খুনিদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে মৃত্যের স্বজনরা ও এলাকাবাসী। শনিবার (১০ জুন) বিকেলে গোবিন্দপুর এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মৃত শিখা হালদারের মা শারথী হালদার বলেন, আমার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ে শিখাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার নাটক সাজিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ওরা আমার মেয়েকে অনেক মারধুর করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঐ পরিবার একটি খুনি পরিবার। এর আগেও এলাকার একটি নিরীহ ছেলেকে খুন করেছে তারা। প্রশাসনের কাছে আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শনিবার সন্ধ্যায় শিখার মৃত দেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় শিখা হালদারের শশুরবাড়ি থেকে শিখার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে শিখার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মৃত শিখা হালদার একই এলাকার মোহন বাশির মেয়ে।