31 C
Dhaka
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫

রৌমারীতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অবস্থিত কিসমত উল্লাহ বালাজান কৃষি ও কারিগরি ইনস্টিটিউটের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। অত্র এলাকার এক মাত্র কৃষি ও ডিপলোমা কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে একটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। যা সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালের নীতিমালার পরিপন্থি। উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ সব ভুয়া সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) কলেজে এক সংবাদ সম্মেলনে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন সরকার স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব তথ্য তুলে ধরেন।

‘কলেজে শিক্ষার্থী নেই, ক্লাস নেই,তবুও বেতন নিচ্ছেন’ শীর্ষক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারাপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন,অত্র কৃষি কলেজের মোট শিক্ষার্থী ১৮৫ জন । যদিও প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৫০।

আরও সংবাদ পড়ুন : সড়কের ওপর জমে থাকে পানি : ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

শিক্ষক ও কর্মচারিরা নিয়মিত অফিস করেন। এনটিআরসিএ থেকে কলেজের শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত না হলেও খন্ডখালীন শিক্ষক দিয়ে নিয়মিত ক্লাস করানো হয়। যার কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য কৃষি ডিপলোমার কলেজের চেয়ে এই কৃষি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা এবং পাশের হার শতকরা ৯০ ভাগ।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ কারিগর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রশ্নে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাধানে পরিক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরিক্ষার সময় অত্র কলেজের আশে-পাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে বিধায় বহিরাগতদের পরিক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার সুযোগ নেই। সেখানে বহিরাগতদের দিয়ে পরিক্ষা নেওয়ার প্রশ্নেই উঠে না। বোর্ড কর্তৃপক্ষের করা প্রশ্নে পরিক্ষা গ্রহণ এবং বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করায় সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, বোর্ড নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কলেজটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে কলেজে উপস্থিত থেকে অফিস সহকারিসহ অন্য কর্মচারিদের সহযোগিতায় সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কলেজের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ঢাকায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও রংপুর আঞ্চলিক অফিস ও কড়িগ্রামে যেতে হয়।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, অত্র চরাঞ্চলে রোমারির রাজীবপুর একটিমাত্র কৃষি ডিপ্লোমা কলেজ । প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারিভাবে ভবন, আসসবাবপত্র ও অনুদান পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র এমপিওভুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ ব্যবস্থপনা কমিটি কর্তৃক সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অফিস সহকারি আমজাদ হোসেন বলেন, অত্র কৃষি কলেজের সনদ বাণিজ্যের সুযোগ নেই। ‘সনদ বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছে’ এই অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । আমার পৈত্তিক জমি বিক্রি করে ৬২ লক্ষ টাকা এবং জমি বন্ধক রেখে ১০ লক্ষ টাকা এবং ব্যাংক-এনজিও থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি।

ল্যাব এসিসটেন্ট বলেন, কলেজে না থেকে ঢাকায় কোচিং সেন্টার করার অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, ঢাকা-ত-দূরে থাক এলাকাসহ কোথাও কোচিং সেন্টার নেই। সংবাদ সম্মেলনে মোসাম্মদ কাকলিসহ সকল কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মচারিরা কলেজটির ভারমূর্তি রক্ষায় সাংবাদিক সমাজ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!