31 C
Dhaka
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫

নবাবগঞ্জে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি :
ঢাকার নবাবগঞ্জে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কাশেমপুর তার নিজ রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর শামসুদ্দোহাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, পুলিশের সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন নদী খনন কাজের টেন্ডার থেকে কমিশন হিসেবে নেন শত শত কোটি টাকা। এছাড়া, নদী দখল করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানার মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। এসব অবৈধ আয় দিয়ে তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জে শত বিঘারও বেশি জমির উপর খামারবাড়ি গড়ে তোলেন, যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

আরও সংবাদ পড়ুন : দোহারে হত্যাকান্ডের আসামিদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মিছিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল (ভিডিওসহ)

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগপত্রে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদ গোপন ও অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সূত্রে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অসাধু উপায়ে বিপুল অর্থ আয় করেন। এই অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা রেখে পরবর্তীতে তা উঠিয়ে তার উৎস ও মালিকানা গোপন করার চেষ্টা করেন।

এছাড়াও, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার আরও ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক আইন, ২০০৪ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইভাবে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপন এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার অজ্ঞাতআয়ের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!