সিনিয়র প্রতিবেদকঃ
ঢাকার দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকার নুরু মিয়া রিক্সা চালিয়ে স্ত্রী ও চার সন্তান দিয়ে জীবন যাপন করলেও বাম চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় অর্থের যোগাড় করতে না পারায় সময় মতো চোখের অপারেশন না হওয়ায় মানসিকভাবে দুঃচিন্তার মধ্যে পরেছেন পরিবারটি। এদিকে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে কস্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
নুরু মিয়া জানায়, ১২ জুন তার রিক্সা করে যাত্রী নিয়ে দোহারের জয়পাড়া এলাকা দিয়ে গালিমপুরে যাওযার পথে তার বাম চোখে হঠাৎ করে একটি পোকা প্রবেশ করে। এতে চোখে অনেক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। ওই দিনই উপজেলার জয়পাড়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গেলে চিকিৎসক ওষুধ দেয়। কিন্তু পরের দিন চোখ আরো ফুলে যন্ত্রনা বাড়তে থাকে। চোখের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে ১৪ জুন ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটে গেলে চোখ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে দেয়। কিছুদিন ওষুধ সেবন করার পর চোখের যন্ত্রনা কিছুটা কমে গেলেও ওই চোখে কিছুই দেখছি না।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, চোখের অপরাশেন করলে চোখ ভালো হতে পারে। বর্তমানে এক চোখের আলো দিয়ে চলাফেরা করছি।
অসহায় ও গরীব নুরু মিয়া ধার দেনা করে চোখের চিকিৎসা বাবদ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। এখন অপারেশন ও ওষুধসহ আরো প্রায় ৩০ হাজার টাকা প্রয়োজন।
নুরু মিয়ার স্ত্রী শুক্কুরী বেগম জানান, ২ মাস ধরে উপার্জন বন্ধ থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে এক রকম কষ্টের মধ্যে দিন পার করছি। সন্তানেরা সবাই ছোট। একজনের আয় দিয়ে চলত সংসার। আতœীয় স্বজনরা প্রথম দিকে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছেন। এখন অপারেশন করতে টাকার প্রয়োজন। টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় অপারেশন করাতে পারছি না।
এ দিকে অসহায় নুরু মিয়া আঘাতগ্রস্থ বাম চোখে আলো ফিরে পেতে চান। এজন্য নুরু মিয়া চোখের সুচিকিৎসার জন্য সমাজের সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। আপনারা নুরু মিয়ার চোখের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে পারেন। কথা বলতে পারেন নুরু মিয়ার সাথে। সাহায্য করতে পারেন নুরু মিয়ার এই ০১৮৫১৯৭৩০৬০ (বিকাশ) নম্বরে।