সিনিয়র প্রতিবেদকঃ
প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পন্ড হয়ে গেছে ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার পৌরসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের নির্বাচনী উঠান বৈঠক। এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময় প্রায় ১ ঘন্টা সভাস্থল ঘিরে রাখে তারা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অতিথিরা সভাস্থল ত্যাগ করলে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে দোহার উপজেলার বানাঘাটা এলাকার জুলহাস মৃধার বাড়িতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের বক্তব্য চলাকালীন সভাস্থলের সামনের রাস্তায় অর্ধ শতাধিক মটর সাইকেল নিয়ে হাজির হয় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও কিছু বহিরাগত। এ সময় মটর সাইকেলের বিকট শব্দে সভাস্থল ভিন্ন রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় উঠান বৈঠক বন্ধ করে দিয়ে মেয়র প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করে আয়োজকরা। প্রায় এক ঘন্টা রাস্তার উপর দাঁগিয়ে শ্লোগান দেয় এবং শ্লোগানের বলা নাজমুল হুদার কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। এ ঘটনার পর পরই সভাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
প্রধান অতিথি নাজমুল হুদার বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দিতে না পারায় উঠান বৈঠক সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়। উঠান বৈঠক থেকে নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তাকে ফোন দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে মিছিলকারীদের সরে যেতে বললেও তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। সন্ধা সাড়ে ৭টা দিকে ছাত্রলীগ ও বহিরাগতরা চলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ ও নির্বাচনী রির্টানিং কর্মকর্তাত কিছুই জানায়নি।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিত হবে দোহারে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সভায় যেভাবে পেশীশক্তি ও মটরসাইকেলের শোডাউন করেছে সাধারন ভোটারটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠকে যোগ দিতে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু এ ধরনের একটি অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে তা আমি প্রত্যাশা করেনি।