সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহার উপজেলার পশ্চিম সুতারপাড়া ও নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় চাঞ্চল্যকর প্রায় ৬৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মালামাল ডাকাতির ঘটনায় দুইজন ডাকাত, দুইজন নারী স্বর্ণালংকার বিক্রেতা, একজন স্বর্ণের দোকানদার ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১০ আনা ১ রতি স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দোহার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ছাগলকান্দা এলাকার খোরশেদ মাতুব্বর এর ছেলে ডাকাত ওমর আলী মাতুব্বর (৩৫), স্বর্ণ বিক্রতা খোরশেদ মাতুব্বরের স্ত্রী কমেলা বেগম (৬৫), ডাকাত ওমর আলী মাতুব্বরের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩০) ও স্বর্ণের দোকানদার একই উপজেলার বিনোকদিয়া এলাকার গোসাই পালের ছেলে গোপাল পাল (৪৫) ও ফরিদপুরের ভাংগা থানার নাজির পুর এলাকার মৃত সারোয়ার মাতুব্বরের ছেলে ডাকাত মোঃ আকরাম মাতুব্বর (৪২)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল পশ্চিম সুতারপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে নগদ টাকা ও ৩৩ ভরি স্বার্ণালংকারসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকার মালামাল ও নারিশা পশ্চিমচর এলাকায় কাকন গাজীর বাড়িতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এরই প্রেক্ষিতে দোহার থানায় দুইটি পৃথক মামলা হলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামানের নির্দেশে ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল মোঃ আশরাফুল আলমের দিক নির্দেশনায় দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে দোহার থানার একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা ডাকাতির ঘটনর সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাটি ও লুন্ঠিত ১০ আনা ১ রতি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের নামেই একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত আরও অন্যান্য আসামীকে গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত স্বার্ণালংকারসহ মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।