সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহার উপজেলায় গ্রাহকের প্রায় ৪৫ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে উঠেছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের এর বিরুদ্ধে। এছাড়াও গ্রাহকের টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রায় শতাধিক গ্রাহক হয়রানির শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে এই শাখার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে প্রায় ৩০ জন গ্রাহক তাদের বীমার টাকার দাবিতে উপজেলার জয়পাড়া পাভেল মার্কেটের অবস্থিত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের এর কার্যালয়ের কর্মকান্ড প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা। এ সময় অফিসে ২ জন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোন কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকে দেখা যায়নি। এই ব্যাপারে দোহার থানায় একাধিক অভিযোগ করা হলে এখনও কোন প্রতিকার পাননি ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক গ্রাহক জানান, আমার একটি ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে ৬ বছর মেয়াদে ৬ লাখ টাকা রেখেছি। বর্তমানে আমার আমার টাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমি দীর্ঘদিন যাবত আমার টাকা উত্তোলনের জন্য ঘুরতেছি। কিন্তু আমার টাকা আমাকে দিচ্ছে না। অফিসে থেকে শুধু বারবার ঘুরাচ্ছে। অফিসে আসলে ম্যানেজারকেও আমরা পাচ্ছি না।
আলম মৃধা নামে আরেক গ্রাহক বলেন, আমি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেখেছি। আমার টাকার সময় শেষ হয়েছে। এখন টাকার জন্য ঘুরতেছি কিন্তু আমার টাকা আমাকে দিতেছে না। অফিসে এলে কেউ আমাদের কোন পাত্তা না দিয়ে শুধু তালবাহানা করতেছে।
ভূক্তভোগি কল্পনা আক্তার নামে পালামগঞ্জ এলাকার এক গ্রাহক বলেন, আমি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর এই শাখায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা রেখেছি। আজ কয়েক মাস হল আমার টাকার মেয়াদ শেষ। আমি শুধু টাকার জন্য ঘুরতেছি। কিন্তু আমার টাকা আমাকে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতেছে। আমি ঘুরতে ঘুরতে অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী এই শাখার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমার আগে যে সকল ম্যানেজাররা এখানে কর্মরত ছিলেন তারা অনেক টাকা আত্নসাৎ করে চলে গেছে। তাই কোম্পানি এখন টাকা দিতে পারছে না। তবে আমরা চেষ্টা করতেছি দ্রুত গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে।
অভিযোগের বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, এবিষয়ে আমরা বারবার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর লোকদের ডেকেছি তারা কোনো সারা দেয়নি। ভুক্তভোগীরা আদালতের সাহায্য নিলে প্রতিকার পাবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবো।