সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা ডাকবাংলো’র পর্যটক এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে বিএনপিনেত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার নারিশা ডাকবাংলো এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করে বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি কাউকে কখনো কোনো টাকা দিতে হয়নি। তবে এবার ঈদের দিন থেকে আমাদের কাছ থেকে দৈনিক দোকান ভেদে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে নিচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দোকানগুলো থেকে চাঁদা ও বিভিন্ন নাগরদোলাসহ রাইডগুলো থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নেওয়া হচ্ছে। মেলা কমিটির সভাপতির পরিচয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি শম্পা আক্তারসহ আরও বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দোহার থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে এমন কর্মকাণ্ড।
আরও এক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের নিজস্ব লাইট ছিলো তার পরেও একদল লোক জোড় করে আমাদেরকে জেনারেটর লাইট লাগিয়ে দেয়। পরে দোকান বুঝে ২শ’ ৩শ’ ও ৫শ’ টাকা চাঁদা নেয়। আমরা শুরুতে টাকা দিতে রাজি হয়নি তবে পরিশেষে সবাই টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও জানান, আমাদের এখানে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০টি দোকান রয়েছে। ঈদের দিন থেকে আমরা ১ সপ্তাহে প্রতিদিন টাকা দিয়েছি। তারা আমাদের লাইট ভাড়ার নামে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলার বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি শম্পা আক্তার জানান, আমি ডাকবাংলো মেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। ৪০ থেকে ৫০ জন লোক যানজট নিরশনে কাজ করছে। আমি জেনারেটরের লাইট বাবদ ১০০ টাকা করে বিল উঠেয়েছি কোনো চাঁদা উঠানো হয়নি। তাকে পুনরায় ‘জেনারেটর লাইট বাবদ ১০০ টাকা হলে অনেক দোকান থেকে তিনশত থেকে পাঁচশত টাকা উঠানো হয়েছে এটা কিসের টাকা? প্রশ্ন করা হলে, এমন প্রশ্ন শুনে শম্পা জানান, তিনি জয়পাড়াতে একটা কাজে আছেন পরে কথা বলবেন।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, আসলে নারিশা ইউনিয়নটি ফুলতলা তদন্ত কেন্দ্রের আন্ডারে চলে। তবে এ ঘটনায় যদি আমার পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকে আমি থানা থেকে পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম জানান, নারিশা ডাকবাংলো এলাকায় চাঁদাবাজীর তথ্য জানা নেই, আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। তবে পর্যটক এলাকায় সরকারি নিয়ম বহির্ভূত দোকান অবৈধ। আইন সবার জন্য সমান। যদি কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।