সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জে উত্তম হালদার (২৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ১৫ দিন পর তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গবিন্দপুর ও বান্দুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত উত্তম হালদার উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার সুরেশ হালদারের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গবিন্দপুর এলাকার মৃত শেখ পান্নুর ছেলে শেখ পনির (২৬) ও একই এলাকার মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ রাব্বি (২৫) এবং উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকার হাশেম ভূইয়ার ছেলে মোঃ রবিন ভূইয়া (৩০)।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর এএসপি মোঃ আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ইং তারিখে উত্তম হালদার নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাঁকে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে নিখোঁজ উত্তম হালদার এর ভাই অসীম হালদার। পরে শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গোবিন্দপুর ভূতের বাড়ির জঙ্গল থেকে পথচারীরা যাওয়ার সময় পচাদুর্গন্ধ পেলে স্থানীয়দের জানায়। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন এবং উত্তমের স্বজনরা এ খবর পেলে তাঁরা লাশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় (২৯ মার্চ) নিহতের ভাই অসীম হালদার বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী তিজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের সাথি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ রাজিবুল হাসান।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার দুপুরে তিন আসামীর প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালত প্রেরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীর সদস্যরা উত্তমকে হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা রিমান্ডে আসলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।