সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীর ১০টি পয়েন্টে কচুরিপানা অপসারণ ও সবজি চাষ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ কমিটি, সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম ও নৌকাবাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রামনগর ও খানেপুর পয়েন্টে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় মৃত প্রায় ইছামতি নদীকে বাঁচাতে সোনাবাজু-কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ ও কার্তিকপুরে নদীর মূল অংশে প্রয়োজনীয় স্লুইচগেট স্থাপন ও কচুরিপানা অপসারণের দাবি জানান ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণ কমিটির সমন্বয়ক রাশিম মোল্লা।
এ সময় রাশিম বলেন, আমরা তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে ইছামতি নদীর কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছি। পরিষ্কার করব নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াখালি বেরিবাধ থেকে বান্দুরা পর্যন্ত এবং দোহার উপজেলার কার্তিকপুর থেকে বান্দুরা পর্যন্ত ইছামতি নদীর ১০ টি পয়েন্টের কচুরিপানা। পয়েন্টগুলো হচ্ছে তুইতাল, দাউদপুর, বারুয়াখালী, শিকাড়ি পাড়া, জয়কৃষ্ণপুর কার্তিকপুর, বান্দুরা, দেওতলা গোল্লা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো ইচ্ছামতি নদী পরিষ্কার করতে পারবো না, কিন্তু আমরা একটি পথ দেখিয়ে যাচ্ছি। সম্মিলিতভাবে যদি চেষ্টা করি তাহলে অনায়াসেই কচুরিপানার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো আমরা। আর সেজন্য নদীরপাড় ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। বিত্তবানদেরকেও এমন কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হোসেন খন্দকার।
এ সময় তিনি বলেন, মা-বাবা যেমন আমাদেরকে আদর সোহাগ করে বড় করে, নদীও ঠিক তেমনি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে বড় করে। ইছামতি নদীকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে নিজেদের আরো অনেক সচেতন হতে হবে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। ইছামতি নদীর উৎপত্তিস্থল কাশিয়াখালী ও কার্তিকপুর অংশে দ্রুত প্রয়োজনীয় সূর্যের স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজকে যে তিনটি সংগঠন কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা অপসারণের একটি পথ দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় কচুরা আপনাকে কাজে লাগিয়ে সবজি চাষেরও পথ দেখিয়েছেন তারা। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিত তাদের প্রতি সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেয়া। আর এটি করা গেলে এর কার্যক্রম আরো বেগবান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মোহাম্মদ মোহাম্মদ আলম, দৈনিক আগামীর সময়ের সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আজহারুল হক, খালিদ হোসেন সুমন, নয়নশ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. শারজাহান মোল্লা, একুশে ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক দুলাল দেওয়ান, খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও জামায়েত নেতা মো. আমজসদ হোসেন, সুহেল রানা, সমাজকর্মী মামুন, রফিক মেম্বারসহ আরো অনেকে।