মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নের নামে বিপুল পরিমাণ ঘুস বানিজ্যের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নসহ পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ছাড়পত্রে ঘুস দূর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পড়ছে মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। এই দপ্তরের ছোট কর্তাবাবু থেকে বড়কর্তা বাবু ঘুস দূর্নীতিতে আক্রান্ত। অফিসে ঘুষ চলায় কোন নিয়ম-কানুনের তুয়াক্কাই করছেন না ইটভাটার মালিকরা। অবাধে চলছে ছাড়পত্র ও অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইটভাটা।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন দেয়ার নামে ১৮ লক্ষ টাকা ঘুস লেনদেনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিও রেকর্ডে এক ইটভাটার মালিকের সাথে ঘুস বানিজ্যের কথোপকথন হচ্ছে পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক সাথে। ভাইরাল অডিও কথোপকথনের শোনা যাচ্ছে এক ইট ভাটার মালিক লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাচ্ছেন। ভাটার মালিক দীর্ঘদিন পার হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স না হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাককে দোষারোপ করেন।
এ সময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার কোন গাফিলতি নেই। আগে আমরা জেলা থেকে লাইসেন্স নবায়ন করেছি। বর্তমানে ঢাকা জেলার ডিরেক্টর নিজে নবায়ন করছে। মুলত এই জন্যই দেড়ি হচ্ছে। একপর্যায়ে অপরপ্রান্তে থাকা ভাটা মালিক আরেক ইটভাটার লাইসেন্সের জন্য ১২লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে কি-না সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। ঘুষ নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় তার দেওয়া ২লাখ টাকা থেকে একলাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন এবং বাকি টাকার জন্য তাগিদ দেন।
এ বিষয়ে পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যার সাথে কথা হয়েছে সে কোন ইটভাটার মালিক নয়। তবে সে মধ্যস্তাকারী (দালাল) বলে স্বীকার করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলী বলেন, এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন তারা ব্যবস্থা নেবেন।