সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ও আমাদের সময় এর দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন অন্তরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার (২৫ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুৎহাটি এলাকায় আহত করা হয়।
আহত নাজমুল ওই ইউনিয়নের খানেপুর এলাকার মোঃ মানিক এর ছেলে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক (পুঙ্গ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাজমুল জানান, শনিবার দোহারের জয়পাড়া মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রাত আনুমানিক প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল করে সে রাহুৎহাটি আসার পর মুখোশ পড়া ২জন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে। পরে তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখে সে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালানোর চেস্টা করলে পিছন থেকে আঘাত করলে তার হাত ও পায়ে মারাত্বক জখম হয়। আহতবস্থায় নাজমুল পাশ্ববর্তী জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনে আশ্রয় নিলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তাকে প্রথমে বান্দুরা মর্ডাণ ক্লিনিকে এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার দুপুর দেড়টায় তার অস্ত্রোপচার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় একই ইউনিয়নের দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ইছামতি নদীর তীর থেকে নাজমুলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি এখনো পাওয়া যায়নি।
জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মোঃ সাইমুন জানান, রাতে নাজমুল রক্তাক্ত অবস্থায় এসে তাকে জানিয়েছিল তার উপর আক্রমনকারীরা দুইজন ছিল। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। হাতে ছিল ধাঁরালো অস্ত্র।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ হরগোবিন্দ সরকার বলেন, নাজমুলের ডান হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিসার জন্য রাতেই তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক (পুঙ্গ) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতের ছোট ভাই নয়ন জানান, সকালে ভাইয়ের মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা ডাকাত হলে মোটরসাইকেলটি তো ফেলে যেত না। এতেই বুঝা যায় ঘটনাটি পরিকল্পিত। যারা আমার ভাইকে কুপিয়েছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের উচিত বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।