সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহারে উপজেলায় সম্পা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ মৃত্যুকে আত্নহত্যা বলে দাবি করলেও বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন এ্যানি আক্তার বাদি হয়ে দোহার থানায় একটি অভিযোগ করেন।
নিহত সম্পা আক্তার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের সিংজুর এলাকার আব্দুল মান্নান খানের মেয়ে এবং দক্ষিন জয়পাড়া এলাকার প্রবাসী মোঃ রিপনের স্ত্রী।
শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার দুপুরে সম্পাকে নিজ ঘরের চালের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। তবে একটি চিরকুট লিখে সম্পা আক্তার আত্মহত্যা করেছে বলে শশুর বাড়িরর লোকজনের দাবি।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের দাবি, সম্পাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে নাটক সাজিয়েছেন রিপনের পরিবার। তারা অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর সাথে ভাল সম্পর্ক থাকলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সম্পাকে বিয়ের পর থেকেই মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতেন। তাদের ঘরে দুইটি মেয়ে সন্তান হওয়ার পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এতে সম্পা অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিল কিন্ত পরিবারের লোকজন ওর কোন চিকিৎসা করায়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সম্প্রতি কথা কাটাকাটিও হয়।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে সংঙ্গে সংঙ্গেই দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে দোহার থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।