23 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে পরিত্যক্ত কোয়াটারে মাদকের আড্ডা

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

গোলজার রহমান, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
আজ থেকে ৩০ বছর ধরে কৃষি অধিদপ্তরের বিএস কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা গেছে। দিনের পর দিন অব্যবহৃত থাকার কারণে ঝাউ জঙ্গলে ভরে গেছে কোয়াটারের ভিতর ও মাঠগুলো। সন্ধ্যার পরে স্থানীয় ও দুর থেকে আসা অনেক উঠতি বয়েসের যুবকদের মাদকের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে। নিরিবিলি এই পরিত্যক্ত কোয়াটারে বসে যুবকেরা মোবাইল আড্ডাসহ ধুমপান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ যেন প্রতিবাদ করার কেউ নাই। যার কারণে সামাজিক পরিবেশ মারাত্বকভাবে দুষিত হচ্ছে।

উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পরে এখানে বিভিন্ন এলাকার যুবকরা এই সব পরিত্যক্ত বিএস কোয়াটারের ভিতরে বা মাঠে আড্ডা জমান। সেই সাথে মোবাইলে আসর বসিয়ে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর কৃষকদের পরামর্শ প্রদান এবং বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য বিএস কোয়াটার নির্মাণ করা হয়। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের বিএস কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। শুধুমাত্র দহবন্দ ইউনিয়নের বিএস কোয়াটারে একজন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বসবাস করছেন। বাকী সব গুলোই ব্যবহারের অযোগ্য।

এ বিষয়ে এলাকবাসী বলেন, উপজেলায় যে সব বিএস কোয়াটার পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে সেগুলো দ্রুত সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।

উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী মোস্তফা মাসুম বলেন, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বিএস কোয়াটারটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর আগে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান কোয়াটারটি ব্যবহার করে আসছিল। এখন এটি স্থানীয় যুবকদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে। কোয়াটারগুলো সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবনে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য একটি করে রুম বরাদ্দ রয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ ওই অফিসে বসে দাপ্তরিক কার্যক্রম করেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার ারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মাদক সেবনকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক সেবনকারিগণ সমাজের ভাল মানুষের মধ্যে পড়ে না। তারা যেই হোক না কেন, অবশ্যই তাদের ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত শক্ত।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য সরকারি নিয়ম নীতি রয়েছে। যদি কোন দপ্তর সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে না পারে তাহল ভুমি অফিসে অবগত করালে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচলিত হলে সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার, মেরামত ও সংরক্ষণের অভাবে বিএস কোয়াটারগুলো বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সেবা প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবহার ও সংরক্ষণ না করলে যেটি হয়; বিএস কোয়াটারগুলোর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেলে পরিত্যক্ত কোয়ারগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. নাজির হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোন তথ্য তাঁর জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!