সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জে সিয়াম বিশ^াস (২২) নামের এক মিশু চালককে খুন করে মিশুক ছিনতাই ও গুম করার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রিস বিজ্ঞপ্তির এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম। নিহত সিয়াম উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদ নদীরপাড় এলাকার মোঃ জসীম উদ্দিন ও লতা বেগম দম্পতির ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার সমসাবাদ এলাকার সমির মেম্বার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার তুজারপুর এলাকার সারোয়ার মোল্লার ছেলে সাজ্জাদ মোল্লা (৩৪), উপজেলার মাঝিরকান্দা এলাকার ভাড়াটিয়া ও কেরাণীগঞ্জের লাকিরচর এলাকার মৃত মনসুর আলীর ছেলে মোঃ মোকসেদ আলী (৫০), মৃত শাহাবদ্দিন এর ছেলে জুলহাস (৩৭) ও সাভার থানার হেমায়েতপুরের চান্দুলিয়া এলাকার মিঠু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ার বেগম (৫০) বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে আসামী সাজ্জাদ মোলা মিশুক চালক সিয়ামের মিশুক ভাড়া নিয়ে গেলে তারপর থেকে সিয়াম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে সিয়ামের বাবা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে না পেয়ে গত শনিবার ১২ অক্টোবর নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে ১৪ অক্টোবর নবাবগঞ্জ থানার আগলা ইউনিয়র মোহনপুর এলাকার পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের সামনের রাস্তার ১০০ গজ উত্তরের ঢালুতে জঙ্গলে নিহত সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে ১৬ অক্টোবর নিহতের বাবা মোঃ জসীম বাদি হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে এর ধারাবিহকতায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ এর নির্দেশনায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারের পর আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম জানান, তথ্যপ্রযুুক্তির সহযোগিতায় আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামীররা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং তাদের তথ্য মতে ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়ি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।