সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহার উপজেলার বাহ্রা ঘাট, অরঙ্গবাদ, মধুরচর বটতলা, কৃষ্ণদেবপুর ও নারিশা এলাকার পদ্মা নদীতে প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২১ জনকে আটক করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ জনকে কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানে একটি বালু কাটার ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে উত্তোলন করে আসছে একটি কুচক্র বালু মহল। এ নিয়ে একাধিক প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা নদীতে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২১ জনকে আটক করে ১৮ জনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নদীর ভূ-প্রকৃতিক পরিবেশ, মৎস্য ও জলজ প্রাণী তথা জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে দোহার উপজেলার আওতাভুক্ত পদ্মা নদীতে নিয়মিত অভিযান ও মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
এ সময় অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন খান। এছাড়াও আরও সহযোগিতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, দোহার থানা পুলিশ ও কুতবপুর নৌ-পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা।