মোঃ শওকত হোসেন
সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে গত দুই তিন দিন যাবত ব্যপক সংঘর্ষের ঘটনায় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার ঘটেছে। রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকাল থেকে আনসার সদস্যরা সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন। আনসার সদস্যদের দাবি ছিল তাদের ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিল করতে হবে এবং তাদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। অর্থাৎ আনসার সদস্যদের তাদের চাকরির তিন বছর পরপর বাধ্যতামূলক ছয় মাসের ‘রেস্টে’ যেতে হয়। এই ছয় মাস তাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্টে হয়। এই নিয়মটি বাতিল চেয়ে আনসার সদস্যরা আন্দোলন করলে এ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের দাবি পর্যালোচনার জন্য আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। এরপরও আনসার সদস্যরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা সচিবালের পাঁচটি প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে তারা ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কসহ কিছু ছাত্রদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় আনসার সদস্যরা ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে জড়ান। পরে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে টি.এস.সির শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে আসার আহ্বান জানান।
পরে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর আহবানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে এলে আনসার সদস্য এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটলে এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে আনসার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গুরুতর আহত হলে তাকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে জুরুরী বিভাগে ভর্তি করেন।
পরে শিক্ষার্থীরা আনসার সদস্যদের চারিদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলেন। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আনসার বাহিনীর দাবি পর্যবেক্ষণের জন্য চারজন আনসার সদস্যসহ বিশ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে আনসার সদস্যরা তাদের সকল আন্দোলন সাত দিনের জন্য বিরতি ঘোষণা করেছেন।