কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি :
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের গদারবাগে বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, প্রতারনা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে এবার সংবাদ সম্মেলন করেছে আপন মামা মোঃ শাহ-জালালের বিরুদ্ধে ভাগ্নে মোঃ সোহেল হোসেন জনি। শনিবার (২৯ জুন) সকলে গদারবাগে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাগ্নে সোহেল হোসেন জনি।
সংবাদ সম্মেলন ভাগ্নে সোহেল হোসেন জনি জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার গদারবাগে ব্রাহ্মণ কিত্তা মৌজায় সাড়ে ৩ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ সাত লাখ টাকা আমার মা ২০০৮ সালে আমার মামা শাহ-জালাল (৪৫)কে দেন। আমার বাবাও বিদেশে থাকা অবস্থা তাকে আরো চার লাখ টাকা দেন। এক পর্যায় মামা বিদেশে চলে গিয়ে লোক মারফতে উক্ত সাড়ে তিন শতাংশ জমিটি আমাদেরকে দেখিয়ে দেন। এতে সেখানে আমরা আধাপাকা টিনসেট বাড়ি নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করি।
তিনি আরও জানান, পরবর্তিতে ওই বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়ার সময় দেখা যায় ওই জমি মামা শাহ-জালালের নামে রেজিস্টিকৃত। বিষয়টি নিয়ে মামার সাথে আলাপচারিতায় মামা বলেন দেশে ফিরে জমিটি তোর মায়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিবো। কিন্তু সে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে আমার মায়ের নামে জমি রেজিস্ট্রি না করে বিভিন্নরকম তালবাহানা শুরু করেন।
সোহেল বলেন, আমার মামা গোপনে উক্ত জমি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পায়তারা করেন। বাড়িটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক মিমাংশায় বসলেও আমার মামা বিচার শালিশের কোন রায়ই মানেনি। উল্টো আমার মামা আমাদের পরিবারের সকলের নামে পর পর ৪টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমন কি গত (১৬ মে) রাতে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মা, বাবা, বড় বোন ও বড় ভাইকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
সোহেল আরও বলেন, এমন সুযোগে ১৭ মে আমার মামা শাহ-জালাল এর নেতৃত্বে দিপক, আহসান উল্লাহ ও হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ১২/১৫ জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের যাবতীয় মূল্যবান ফার্নিচার ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় লুটপাটের চলাকালীন আমাদের ঘরে রাখা বিদ্যুৎ বিলের ৫০ হাজার টাকা, ঘরে রক্ষিত ১৯ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্নালংকার, ২০ ভরি রুপা, ব্যাংকের মূল্যবান কাগজপত্রাদী ও বাড়ির দলিল পত্রসহ অনান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
পরে ঘটনাটি আমি জানতে পেরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করলে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু রহস্য জনকভাবে আমার প্রতি কেন যেন পুলিশ বিরূপ আচরণ করে যার কারণ আমি বুঝতে পারি নাই।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ন্যায় বিচার আশা করে বলেন, আমি আইনের সহায়তা চাই, জুলুমবাজ অপশক্তির হাত থেকে তার পরিবার বাঁচতে চায়। এ সময় তার পাশে ছিলেন তার পিতা নূর মোহাম্মদ, মাতা নূর নাহার বেগম ও বড় বোন মুক্তা আক্তারসহ আরও অনেক।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগে মামা শাহ-জালাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ সত্য নয়। বরংচ্য আমি ওদের বিভিন্ন সময় সাহায্য সহোযোগিতায় করতাম। কিন্তু ওরা আমাকে অনেক হয়রানি করতেছে।