কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি :
ঢাকার কেরানীগঞ্জের গদারবাগ এলাকায় নবনির্মিত রাস্তা ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে ঢাকা-দোহার সড়ক অবরোধ করে শত শত এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শনিবার (২৯ জুন) সকাল ১২ টার দিকে নেকরোজবাগ এলাকায় এম ঘটনা ঘটে। এ সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে কেরানীগঞ্জের যাত্রীসহ দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা।
স্থানী সূত্রে জানা যায়, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের গদারবাগ বালুর মাঠ এলাকায় কালিন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারা মিলে শত শত লোকজনের চলাচলের সুবিধার জন্য এ রাস্তা নির্মাণ করেন।
সেই রাস্তাটি শনিবার সকাল ১২ টার সময় নেকরোজবাগ এলাকার মডেল থানা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার নেতৃত্বে গদারবাগের কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা ওই নবনির্মিত রাস্তাটি ভাঙ্গা শুরু করে।
এ সময় খবর পেয়ে এলাকাবাসি একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে এলাকার মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার জন্য বলেন। পরে এই ঘোষণা পেয়ে বালুর মাঠ ও আশেপাশের এলাকার শত শত লোকজন রাস্তায় নেমেএসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় মিছিলকারীরা একপর্যায়ে গদারবাগে ঢাকা-দোহার সড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন কেরানীগঞ্জসহ দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গার যাত্রীরা।
গদারবাগ এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি যখন ভেঙে ফেলা হচ্ছিলো তখন রাস্তাটি না ভাঙ্গার জন্য আমরা তাদের বার বার অনুরোধ করার পর ও তারা রাস্তা ভাঙা বন্ধ করেনি। পরে নিরুপায় হয়ে আমরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানাই। একপর্যায়ে সবাই রাস্তায় নেমে আসলে তারা রাস্তা ভাঙা বন্ধ করে পালিয়ে যায় ।
এলাকার বাসিন্দা খলিল বলেন, আমাদের রাস্তা যতটুকু ভাঙ্গা হয়েছে সেই টুকু রাস্তা সংস্কার করে দিতে হবে। না হয় আমরা রাস্তায় নেমেছি রাস্তায় অবস্থান করবো। আমাদের গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে ফেলবে এটা আমরা এলাকাবাসী মানতে পারবো না। আমাদের দাবি একটাই রাস্তা ভাঙা চলবে না যতটুকু রাস্তা ভাঙা হইয়েছে ততটুকু রাস্তা সংস্কার করে দিতে হবে।
এমন খবর পেয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ কারীদের ভাঙ্গা রাস্তা পুনঃ নির্মাণের আশ্বাস দিলে ভিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।