সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জে আলকাম ওরফে কামরুল নামে এক ভুয়া পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আলকাম উপজেলার আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুয়া পুলিশকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম জানান, আসামী আলকাম ওরফে কামরুল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্কুলপড়–য়া ছাত্রী ও প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীদের সাথে সর্ম্পক গড়ে এবং বিবাহের প্রস্তাব দেয়। এরই জের ধরে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩১ মার্চ দুপুরে উপজেলার গালিমপুর বাজার থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর ঢাকা থেকে মেয়েটিকে অন্যত্র পঞ্চগড় নিয়ে যায়। পরবর্তিতে অপহরণকৃত মেয়েটির সাথে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। এ সময় আলকাম ওরফে কামরুল ওই মেয়েটির সাথে আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সোসাল মিডিয়াতে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল হওয়ার কথা বলে মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এরই জের ধরে ভুক্তভুগি ওই মেয়েটির পরিবার নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামানকে অবগত করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে ও জেলা দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম এর সরাসরি তত্বাবধায়নে এবং নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জালাল ও তার সংঙ্গীয় অফিসারদেরসহ পুলিশের একটি দল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পর আলকাম ওরফে কামরুল তার ব্যবহার করা পুলিশের পোষাক, একটি মোবাইল ও পুলিশের বুটজুতা, পুলিশের বেল্ট ও কাউন্টার টেরিজম লগোযুক্ত ঢাকা মেট্রো-ল-২৮-৯৬৭৬ নম্বরের কালো রং এর একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ-জালাল বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আলকাম পুলিশের কাছে অপহরণ ও মেয়েটি সাথে হওয়া ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে। এ ঘটনায় আলকামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।