সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬ বছর বয়সী তরি বাড়ৈই নামের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী আবু স্বাদ (১২) নামের এক কিশোর ও তার মা শিমু আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম শোল্লা চন্দ্রপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।
নিহত তরি বাড়ৈই ওই এলাকার সুমন ও বকুল বাড়ৈই দম্পতির একমাত্র মেয়ে। নিহত তরি স্থানীয় দূর্গা মন্দিরে শিশু শ্রেণীতে পড়তো।
এ বিষয়ে নিহতের মা বকুল বলেন, তরি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় অনেক খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশি স্বাদদের বাড়ির পাশের কলাগাছের ঝোপের নিচু জায়গায় মাটিতে অর্ধ পুঁতে রাখা অচেতন অবস্থায় আমার মেয়েকে দেখতে পাই। পরে স্থানীদের সহায়তায় তরিকে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার তরি বেঁচে নেই বলে জানান। আমার একমাত্র মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি ওদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জালাল বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন এলাকাবাসী।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ওই শিশু দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বাদ প্রথমে তরিকে একাধিক চড় থাপ্পড় মারে এবং পরে লাঠি দিয়ে ওর গালে ও মাথায় এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করলে তরির মৃত্যু হয়। সে তরিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য মাটিতে প্ুঁতে রাখতে চেয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।
লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে আজ বুধবার (২২ মে) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।