কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া ঘাট হতে কুলচর পর্যন্ত রাস্তাটির পুনঃসংস্কারসহ কার্পেটিং করায় দীর্ঘদিনের ভোগান্তির শেষ হয়েছে। এতেএই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ সন্তোশ প্রকাশ করেছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায়, শাক্তা ইউনিয়নের খোলামোড়া ঘাট থেকে নবাবচর হয়ে কুলচর পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা ছিল। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খোলামোড়া ঘাট হয়ে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপার হয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করত। এতে সাধারন মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হত। মানুষের এই দুর্ভোগ দূর করার জন্য এলজিইডি হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিওবিএম কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১ কোটি ৪ লক্ষটাকা ব্যয়ে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। এজন্য নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকার দপ্তর হতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার করে নির্বাচিত ঠিকাদার এনবি ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ প্রদান করেন। উপজেলা প্রকৌশলী কেরানীগঞ্জ দপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কাজটির নাম খোলামোড়া বাজার হতে কুলচর ভায়া নবাবচর সড়ক।
কাজের গুনগত মান নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদুল্লাহ জানান যে, সম্পুর্ন রাস্তাটি নতুন করে বিটুমিনাস কার্পেট করা হয়েছে। কাজের গুনগত মান রক্ষার্থে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওকার্য-সহকারী সর্বক্ষনিক তদারকি করেন। বর্তমানে দেশে প্রচলিত কার্পেটিং প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম নির্বরযোগ্য ও সর্বাধুনিক প্রক্রিয়া কার্পেটিং মালামাল প্রস্তুতির জন্য বিটুমিন মিক্সিং প্লান্ট ও রাস্তায় কার্পেটিংয়ের জন্য অটোমেটিক পেভার মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অনুসরন করে উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং কার্যসহকারীদের উপস্থিতি ও তত্ববধানে সুষ্ঠুভাবে কাজটি করা হয়েছ। এ প্রক্রিয়ায় কাজের গুনগতমান যেমন রক্ষা হয়েছে তেমনি রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে সকলে আশাবাদী।
উপজেলা প্রকৌশলী আরো জানান, রাস্তার কাজ ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ অংশে শুরু হয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম অংশে শেষ হয়। ঠিকাদারকে এখনও চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়নি। এছাড়া গত ১৬/১০/২৩ তারিখে এলজিইডি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তার নিয়মিত উপজেলা পরিদর্শনের সময় রাস্তাটি পরিদর্শন ও পরীক্ষন করে কাজটির গুনগতমানের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। খোলামোড়া ঘাট ও তদসংলগ্ন এলাকার স্থায়ি বান্দিাদের সাথে কথা বললে তারাও কাজের গুনগত মানের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।এছাড়া ঘাট ব্যবহারীদের চলাচল আরো সহজ ও আরামদায়ক হবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।