নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় বসত ঘর থেকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিখা হালদারের লাশ উদ্ধারের দীর্ঘ চার মাসেও মৃত্যুর রহস্য খোলাসা হয়নি এখনও। বিষয়টি নিয়ে স্বজনদের ও এলাকাবাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। আসামী পক্ষ প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিখার স্বজনরা।
নিহত শিখা হালদার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় সৌদি আরব প্রবাসী রতন হালদারে স্ত্রী ছিলেন। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।
জানা যায়, চলতি বছরের ৯ জুন শিখার লাশ তার বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহতের মা সারথী রানী হালদার বলেন, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানায় মামলা না নেওযায় বাধ্য হয়ে আমি মহামান্য আদালতে ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারা দন্ডবিধিতে মামলা দায়ের করি। পরে মামলা করার পর থেকেই বিবাদী পক্ষ আমার উপর বিভিন্ন হুমকি-ধুমকি দিয়ে আসছেন। আমরা গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে তার শ^শুড় বাড়ীর লোকজন মেয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যার কথা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আসামী দীলিপ হালদার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের মেম্বর। প্রভাবশালী ব্যক্তি তাই সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের বলছেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা ভিসেরা প্রতিবেদন তাদের কাছে আছে কিন্তু আমাদের কোন তথ্য জানাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক ও মামলার আয়ু (এসআই) তানভীর শেখ বলেন, মামলার তদন্তকাজ শেষ। ময়নাতদন্ত বা ভিসেরা প্রতিবেদনও হাতে পেয়েছি। খুব শিঘ্রই তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।