সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মানদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রুই, কাতল, কালিবাউস ও বোয়াল মাছের ছোট পোনা ধরার অপরাধে ৯ জেলেকে অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান এ অর্থদন্ড করেন।
অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুরের চরভদ্রাশন উপজেলার চরকল্যানপুর গ্রামের শামছু মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা (২২), একই এলাকার হোসেন খালাসীর ছেলে ইদ্রিস খালাসী (৫০), শেখ আইয়ুব এর ছেলে শেখ সজিব (২২), শেখ ইমানের ছেলে আনোয়ার (৩৬), শামীম খালাসীর ছেলে শাহ আলম (১৯), আলমগীর বেপারীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (২৬), চরগোপালপুরের জসিম মোল্লার ছেলে তসলিম মোল্লা (২৫), সাজু মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (২৪), এবং দোহারের চর-মাহমুুদপুর এলাকার লালু ফকিরের ছেলে মান্নান ফকির ( ৪৪)।
নৌ-পুলিশ সূত্রেজানা যায়, প্রতিদিনের মত দোহারের কুতুবপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই জহিরুল ইসলাম পদ্মানদীতে তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সরকারি নিষেধাক্তা অমান্য করে পদ্মানদী থেকে মাছের পোনা ধরে দোহারের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে জেলেরা। এ সময় নৌ-পুলিশ জেলেদের নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে তাদের নৌকা থেকে প্রায় ২০০ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছের পোনাসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়।
পরে দোহার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থেল উপস্থিত হয়ে আটককৃত ৯ জেলেকে ৫ হাজার করে মোট ৪৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত মাছ হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জানা যায়, জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ৬ মাস রুই, কাতল, কালিবাউস, বোয়ালসহ দেশীয় ছোট পোনা ধরা ও বিক্রি করা সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।