সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। শুক্রবার (১৬ জুন) কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার উত্তর চিতলীয়া এলাকার মৃত ফজলে করিম ঘরামী এর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্য এলাকায় বসবাস করেন। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১০।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত শিশুর বাবা-মা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা এলাকায় একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের শিশু সন্তানকে দেখাশুনার জন্য কর্মস্থলের কাছাকাছি একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
এ সময় গত (১২ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে শিশুটির মা কাজের ফাঁকে বাসায় গেলে বাড়ীর মালিকের ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন’কে তাদের বাসা থেকে বাহির হতে দেখতে পায়। পরে ওই মা দ্রুত তার বাসায় প্রবেশ করে দেখতে পান শিশুটি বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার ফ্লোরে পড়ে কান্নাকাটি করছে।
পরে শিশু মেয়েকে তিনি জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, বাড়ীর মালিকের ভাই জাহাঙ্গীর হঠাৎ করে তাদের বাসায় প্রবেশ তাকে বিবস্ত্র করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাসা থেকে চলে যায়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে শিশুটির মা তার স্বামীকে খবর দিলে শিশুটির বাবা বাসায় এসে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন।
র্যাব আরও জানান, চিকিৎসার পর তারা বাসায় ফিরে আসলে বাড়ীর মালিক ধর্ষণের ঘটনার বিষয় কাউকে না জানানোর জন্য তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে অসহায় পরিবারটি বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) অধিনায়ক র্যাব-১০, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
র্যাব-১০ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ধর্ষক জাহাঙ্গীর’কে গ্রেপ্তারের লক্ষে এক ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধরাবাহিকতায় উক্ত আভিযানিক দল শুক্রবার (১৬ জুন) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক জাহাঙ্গীর ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।