নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রতন হালদারে স্ত্রী শিখা হালদারের মৃত্যু রহস্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার (৯ জুন) শিখার ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। শিখার মৃত্যু নিয়ে চলছে এলাকাতে নানা গুঞ্জন। এ ঘটনার পর শিখার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। স্বজনদের দাবি শিখাকে তার শশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো এবং পরিবারে মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।
স্থানীয়রা জানায়, আমাদের ইউপি সদস্য দিলীপ হালদার শিখার চাচা শ্বশুরের মোবাইল বন্ধ আজ চার দিন যাবত। তবে অভিযুক্ত শ^শুর সুনিল ও চাচা শ্বশুর দিলীপ হালদারের বাড়ীতে রাতে চৌকিদার দিয়ে পাহারা দেওয়ান চেয়ারম্যান। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে তুমুল সমালোচনা।
বুধবার (১৪ জনু) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিখার মৃত্যু রহস্য কি, হত্যা নাকি আত্মহত্যা ? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর মিলছে না শ্বশুর বাড়ীর লোজনের কাছ থেকে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের দাবি, শিখাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে আত্মহত্যা বলে লাশ পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলো।
এদিকে শিখার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সৌদি আরব থেকে স্বামী রতন হালদার দেশে ফিরে আসেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শিখা আমাকে মোবাইলে জানায় বাড়িতে ঝগড়া হয়েছে। আমি তাকে বিভিন্ন ভাবে সান্তনা দেই ও শান্ত থাকতে বলি। তখন বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় ১২টা বাজে। শুক্রবার জানতে পারি আমার স্ত্রী আর জীবিত নেই।
নিহত শিখার মা শারথী হালদার বলেন, আমার মেয়ে শিখাকে শ্বশশুর বাড়ির লোকজন মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চান।
স্ত্রী হত্যার বিচার চেয়ে প্রবাস ফেরত স্বামী রতন হালদার বলেন, হত্যার সাথে জড়িত যেই থাকুক তার শাস্তি চাই। নিহত শিখার তিন বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান ঝুমুরকে নিয়ে বাবা রতন এখন দিশেহারা।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ময়না তদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।