সুজন খান :
আসছে কোরবানির ঈদকে সামনে ঘিরে এবার সব চেয়ে বড় তারকা হিসেবে আলোচনায় রয়েছে “কালাপাহাড়” নামক একটি ষাঁড়। ষাঁড়টি দৈর্ঘ্য ১১ ফুট, উচ্চতা ৭.৩ ফুট। যার লাইভ ওজন রয়েছে প্রায় ২ হাজার কেজি বা প্রায় ৪৮ মণ। বিশাল দেহের আকৃতি ও গায়ের রং কালো হওয়ায় ষাঁড়টির মালিক নাম রেখেছেন “কালাপাহাড়”।
এমনই একটি ষাঁড় যা ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাংলা বাজার সংলগ্ন উত্তর শিলাকোঠা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারী এ ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন। এছাড়াও তার আরও একটি গাভীও রয়েছে। ষাঁড়টিকে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন লোকজন ও অনেক ব্যবসায়ীরা ভীর করছেন এই খামারীর বাড়িতে। কালাপাহাড় ষাঁড়টির মালিক এবার দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। কাঙ্খিত দাম পেলে ষাঁড়টিকে বিক্রি করে দেবেন বলে জানান ষাঁড়টির মালিক।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এই “কালাপাহাড়”কে কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবেই লালন-পালন করে মোটাতাজা করা হয়েছে বলে জানান ষাঁড়টির মালিক আব্দুল জলিল বেপারী। এলাকার মধ্যেই নিজস্ব জমিতে সবুজ ঘাস চাষ করে খাওয়ানো হচ্ছে দোহারের এই কালাপাহাড়কে। ঘাসের পাশাপাশি কালাপাহাড়কে দানাদার খাদ্যের মধ্যে ধানের কুড়া, গমের ভুসি, ছোলার ছাঁটি এবং শুকনো খড় জাতীয় খাবারসহ খাওয়ানো হয় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিনই কালাপাহাড়কে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। রাখা হয় বৈদ্যুতিক পাখার নিচে। অত্যান্ত যতœসহকারে কালাপাহাড়কে লালন-পালন করে আসছেন মালিক আব্দুল জলিল বেপারী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
ষাঁড়টির মালিক আব্দুল জলিল বেপারী জানান, “দোহারের কালাপাহাড়” খুবই শান্ত স্বভাবের ষাঁড়। তার কোন রাগ নেই। কারো দিকে তেড়েও আসে না। পাশের অন্য কোন গরুকে আক্রমনও করে না। বিশাল বড় এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৪৮ মণ। আর কালো রঙের বলে এর নাম রেখেছি “কালাপাহাড়”। অষ্ট্রেলিয়ান ক্রস জাতের এ ষাঁড়টিকে দৈনিক ১৫ থেকে ১৬ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস ছাড়াও দিতে হয় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার।
তিনি আরও বলেন, গত বছর কোরবানির ঈদে ষাঁড়টির দাম ১১ লাখ টাকা উঠলেও ন্যায্য মূল্যে না পাওয়ায় তা বিক্রি করিনি। তবে এবার আরও বেশি যতœ করে আরো বড় করা হয়েছে কালাপাহাড়কে। এবার কালাপাহাড়ের দাম চাই ১৫ লাখ টাকা। কাঙ্খিত দাম পেলে ষাঁড়টিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এই “কালাপাহাড়” ষাঁড়টিকে ক্রয় করতে খামারী আব্দুল জলিল বেপারী, ফোন নং- ০১৭১৪৩৭৫৭০৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন আপনারা।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শামীম হোসেন বলেন, দোহারে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৩২’শ গরু তৈরি আছে তবে আসন্ন কোরবানী উপলক্ষে আমাদের দোহারে প্রয়োজন ২৫’শ থেকে ২৬’শ গরু। অর্থাৎ আমাদের চাহিদার তুলনায় বেশি যোগান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কালাপাহাড় ষাঁড়টি আব্দুল জলিল বেপারী দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত সম্পূর্ণ আমাদের প্রাণী সম্পদের তত্বাবধায়নে প্রাকৃতিক পরিবেশে সবুজ ঘাস ও বিভিন্ন ধরনের দানাদার খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করেছেন। বর্তমানে ষাঁড়টি লাইভ ওজন রয়েছে প্রায় ২০০০ কেজি বা প্রায় ৪৮ মণ। আমরা চাই জলিল বেপারী ষাঁড়টি বিক্রি করে লাভবান হন।