সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামক একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে বান্দুরা বাজারের বান্দুরা সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম। আটককৃত গিয়াস উদ্দিন ময়মনসিংহ সদরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম জানান, তথাকথিত আটককৃত এই ডাক্তারের কোন এমবিবিএস ডিগ্রী নেই। তারপরও তিনি অবৈধভাবে সকল রোগের চিকিৎসা দেন। থাইরয়েডের বিশেষজ্ঞ না হওয়া স্বত্তে¡ও তিনি এই রোগের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একাধারে দাতের অপারেশন করেন, গেস্ট্রোলিভারের রোগী দেখেন, অন্যান্য অপারেশন ও জটিল রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপদেশ দিয়ে চিকিৎসাপত্রে লিখে দেন।
তিনি আরও জানান, এমবিবিএস ডিগ্রী ও বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন না থাকা স্বত্তে¡ও ডাঃ পদবি ব্যবহার করে এক বছর ধরে তিনি এখানে বিভিন্ন ভাবে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ এখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সকল কাগজ যাচাই-বাচাই করে ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। পরে আটকৃত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন এই ভুয়া চিকিৎসককে চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করেন। নবাবগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া চিকিৎসক বিরোধী ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।