28 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

নবাবগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

spot_img

আরো সংবাদ

spot_img
spot_img

নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের মুন্সিনগর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ. রব নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শণে দেখা যায়, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মুন্সীনগর মৌজায় সি.এস খতিয়ান ৫১, এস.এ খতিয়ান ৩৩, আর.এস খতিয়ান ১১, সি.এস ও এস.এ দাগ ৩৭, আর.এস দাগ ১৬৫, মোট সম্পত্তি ২৯ শতাংশ জায়গা নিয়ে আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা চলমান রয়েছে। যাহার পিটিশন মামলা নং-৩৯/২০২৩ ও প্রসেস নং-১৭৪/২০২৩ এবং তারিখ :-১৯-০২-২০২৩ইং।

মামলার আদেশ নামায় দেখা যায়, পিটিশন মামলা নং-৩৯/২০২৩ ও প্রসেস নং-১৭৪/২০২৩ এবং তারিখ :-১৯-০২-২০২৩ইং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে বিজ্ঞ বিচারক মোছা: আকলিমা বেগম এক আদেশ নামা জারী করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবরে, যেন শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে উভয় পক্ষকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় যার যার স্ব স্ব অবস্থানে থাকার জন্য এবং কোন প্রকার নতুন করে কোন ভবন বা কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী শখি বেগম বলেন, আমরা পৈত্রিক ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে আজ বহুদিন যাবৎ গাছপালা ও বাড়িঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে রয়েছি। এই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে এবং এই জায়গায় কেউ কোন বাড়ি ঘর বা কোন স্থাপনা নির্মান করিতে না পারে সে জন্য আদালতে থেকে একটি স্টে অর্ডার রয়েছে। কিন্তু বিবাদী আ: রব আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে ক্ষমতা খাটিয়ে জোড়পূর্বক ভাবে আমাদের মামলা চলমান জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন।

শখি বেগম অভিযোগ করে আরও বলেন, বিবাদীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের জায়গা জবরদখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করায় বিবাদীরা আমাদের বিভিন্ন রকমের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় বারুয়াখালী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরির্দশক (এইআই) আবু তাহের মিয়া এর কাছে আমরা একাধিকবার অভিযোগ করলেও পুলিশ আদালতের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগে করেন শখি বেগম।

এ বিষয়ে মামলার বিবাদী আ: রবের ছেলে তানভীর হোসেন বলেন, মামলা ২৪ তারিখে খারিজ হয়ে গিয়েছে। আমরা কারো জায়গা দখল করিনি। বারুয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বারি মোল্লা আমাদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন। আপনাদের কিছু জানার থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করেন।

এ বিষয়ে বারুয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বারি মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে তা আমার জানা ছিলো না। যদি জায়গা নিয়ে মামলা থাকে তাহলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, বিবাদী আ. রবকে থানায় ডেকে এনে কাজ বন্ধ করার কথা বলে দিয়েছি। তারপরেও যদি আইন অমান্য করে কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আ. হালিম বলেন, শিকারীপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য বলে দিয়েছি। তারপরেও যদি জোড়পূর্বক কাজ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

spot_img
spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ

spot_img
spot_img

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
ক্যাপচা ব্যবহারকারীর স্কোর ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!
error: Content is protected !!