সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার দোহারে ভাঙ্গা সেতুতে দুর্ঘটনায় কিশোর আহতর প্রতিবাদে মনববন্ধন করেছেন উত্তর রাধানগর এলাকার লোকজন। রবিবার সকালে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে “ল্যাংরার সেতু” নামের একটি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত কাঠের তৈরি সেতু অর্ধেক ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় উত্তর রাধানগর এলাকার রানা নামের ১৪ বছরের এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনার পরদিন রোববার সকালে ঠিকাদারের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন উত্তর রাধানগরের বাসিন্দার।
এ সময় উপস্থিত মানববন্ধনকারীরা জানান, সেতুটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সুরমা এন্টার প্রাইজের কাছ থেকে কাজটি কিনে নেন স্থানীয় ঠিকাদার দোহার পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন মাঝি। জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন মাঝি কাজটি নেওয়ার পর থেকে সেতু নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলতে থাকে।
এ দিকে বিকল্প কাঠের সেতটি অর্ধেক ভেঙ্গে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিলাসপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষের চলাচল। শনিবার কিশোরের আহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ জানান মানববন্ধনকারীরা।
এ বিষয়ে ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন মাঝি জানান, সেতুটির নিচে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য বিকল্প কাঠের সেতুটি ভাঙ্গা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত কিশোরের সকল প্রকার সহায়তা দেয়া হবে। অতি দ্রæত নির্মাণাধীন সেতুর চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
এ বিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ চোকদার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি আহত ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেই। তার চিকিৎসার সহায়তার কথা জানাই। তিনি আরও জানান, বিকল্প কাঠের সেতু ভাঙ্গার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।