নবাবগঞ্জ থেকে সিনিয়র প্রতিবেদক :
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দোহার-নবাবগঞ্জ সংবাদ দাতার একমাত্র মেয়ে জেরিন রহমান অহনা (১৫) শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের বড় ভাই নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জেরিন রহমান অহনা উপজেলার সদর কলাকোপা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মোঃ শাহিনুর রহমান (তুতির) মেয়ে ও নবাবগঞ্জ এতিমখানা ও মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বড় ভাই অলিন রহমান জানান, তার মায়ের মতো বোনেরও ছোট বেলা থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত (এ্যাজমার) সমস্যা ছিল। দিন দিন সমস্যা বাড়তে থাকায় প্রতিনিয়ত তাকে ঔষধ সেবন করতে হতো। প্রয়োজনে ইনহেলার ও গ্যাস (নেবুলাইজ) নিতে হতো। প্রতিদিনের মতো আমরা রাতের খাবার খাই। মা ওকে খাইয়ে দিয়েছিল। এরপর বাবা-মা তাদের রুমে, আমি আমার রুমে ও ছোট বোনটা আমার তার রুমে ঘুমাতে যায়। আমি আমার রুমে বিছানায় শুয়ে ল্যাপটপ চালাচ্ছিলাম। রাত ১২ টার দিকে বোন এসে আমাকে জানায় ওর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে বলে গ্যাস নেওয়ার মেশিনে ঔষধ দিয়ে দিতে বললে আমি তাই করি। পরে গ্যাস নেওয়ার আগ মুহূর্তে শ্বাস নিতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচেতন হয়ে পড়ে।
এ সময় আমার চিৎকারে বাবা মায়ের ঘুম ভাংলে তারা এসে এমন পরিস্থিতি দেখলে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে এতো রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ম্যানেজ করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
সরজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল ৯টায় বলমন্তচর মাঠে জানাজা শেষে বলমন্তচর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসংখ্য মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
সাংবাদিকের একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকেরছাঁয়া। এলাকা জুড়ে চলছে শোকের আহাজারি। মেয়েটিকে একনজর দেখতে প্রতিবেশীরাসহ খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে রাত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এসে নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এমন মৃত্যুতে এলাকায়ও শোকের ছাঁয়া বিরাজ করছে।