শরিফ হাসান :
ঢাকার দোহারের বিলাসপুর ইউনিয়নের কুলছড়ি এলাকার “শাহিন মোল্লা মাশরুম খামার” থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল চাষী ও উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দোহার উপজেলার অনেক বেকার যুবকরা। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মাশরুম চাষে বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ অঞ্চলে। স্বাস্থ্য সম্মত এ খাবারটির চাহিদাও বেড়েছে এ এলাকায়। মাশরুম চাষ করে দোহার উপজেলার শাহিন মোল্লা ইতোমধ্যে নিজেকে একজন সফল চাষী ও উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।
সফল এ উদ্যোক্তা জানান, সাভার মাশরুম উন্নয়ন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০২০ সালে শুরু করেন মাশরুম চাষ। শুরুতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করে মাশরুম চাষ করলেও বর্তমানে নিজেই বীজ তৈরি করে মাশরুম চাষের পাশাপাশি বিক্রি করা শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে এ অঞ্চলে মাশরুমের পাশাপাশি বীজেরও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তার খামারেই মাশরুমের বীজ গবেষণা ল্যাব স্থাপন করেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ নিতে এখন আর সাভারে যেতে হবে না। মোল্লা মাশরুম খামার থেকেই এখন প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে।
মাশরুম চাষি শাহিন মোল্লা আরও জানান, তার স্বপ্ন দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে মাশরুম পল্লী হিসেবে গড়ে তোলা। উৎপাদনের পাশাপাশি তিনি তার খামারে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যাতে করে খুব সহজে এ এলাকার বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল উদ্যোক্তা হতে পারে।
খামারী জানান, দোহার উপজেলা যুব উন্নয়ন ও কৃষি অধিদপ্তর থেকে শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি টিম পাঠিয়েছে এবং মাশরুম চাষ প্রণালী সর্ম্পকে উপযোগী করে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খামার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া দোহার উপজেলার বুনন যুব মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শাহরিমা ইসলাম জানান, মাশরুচাষ আমাদের কাছে সস্পূর্ণ নতুন, তবুও দোহার উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরামর্শে সমিতির ৩০ জন সদস্যর একটি টিম মোল্লা মাশরুম খামার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, আমরা সমিতির ১১জন সদস্য মাশরুম চাষের প্রজেক্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে প্রজেক্টে মাশরুম চাষ শুরু করবো।
দোহার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সামছুন্নাহার খান জানান, মাশরুম প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের নিজস্ব কোন ভ্যেনু না থাকায় দোহারের মোল্লা মাশরুম খামারে প্রশিক্ষণের জন্য ছেলে ও মেয়েসহ ৩০ জনের একটি টিম পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ বছরই একটি প্রজেক্টে মাশরুম চাষ শুরু করবে।
দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন ইয়াকুব জানান, এ পর্যন্ত কয়েকটি টিম মোল্লা মাশরুম খামার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেকারত্ব দূর করে কয়েকজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে গেছে।